নিজেকে স্মার্ট করে তোলার কৌশল
ভূমিকা
স্মার্ট বলতে অনেকেই বাহ্যিক সৌন্দর্য কেই বুঝেন। কিন্তু একজন ব্যাক্তিকে তখনই স্মার্ট বলা হয় যখন তার চিন্তাভাবনা, জ্ঞান, কথাবার্তা, কাজকর্ম, পোশাক, আচার-আচরণ সবকিছুতেই মানুষ মুগ্ধ হয়। একজন স্মার্ট ব্যাক্তি সবসময় নিজেকে আপডেট রাখতে সক্ষম হয়।
তাহলে চলুন দেখা যাক কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করে তোলা যায়
১.কথাবার্তা : অনেক ব্যাক্তি আছে দেখবেন পোশাকে অনেক ফিট কিন্তু কোথাও কথা বলার ক্ষেত্রে সে কথাই বলতে পারছে না। আবার অনেকে দেখবেন ইন্ট্রোভার্ট টাইপের এরা পরিচিত কাওকে দেখলে এগিয়ে গিয়ে কথা না বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যেটা দৃষ্টিকটু দেখায়। আপনার সামনে এমন মোমেন্ট আসলে আপনি গিয়ে সালাম/আদাব দিয়ে খোজখবর নিতে পারেন।
আর কথাবার্তা যত বলবেন আপনাকে তত জানতে হবে। সুন্দর নমনীয় ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করবেন। বুঝে শুনে যুক্তিসম্পন্ন কথা বলবেন। অযথা রেগে গিয়ে যা তা বলে ফেলবেন না, নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে। তবেই আপনি কথাবার্তার ক্ষেত্রে নিজের স্মার্টনেস ধরে রাখতে পারবেন।
২. জ্ঞান অর্জন: আমরা সবাই জানি যে জানার কোনো শেষ নেই। যে ব্যাক্তি যত বেশি জানে সেই ব্যাক্তি তত স্মার্ট হয়। কারণ আপনি যখন অনেক পড়াশোনা করবেন তখন সবকিছু সম্পর্কেই আপনার ধারণা আসতে থাকবে। আপনি কথা বলতে পারবেন, বিচার, বিবেচনা করতে পারেন। পড়াশোনা করে নিজেকে আপডেটও রাখতে পারবেন। যারা স্মার্ট ব্যাক্তি তারা রোজ নিউজপেপার পড়ে, সাহিত্য পড়ে, একাডেমিক বই পড়ে, ইত্যাদি মোট কথা তারা প্রচুর বই পরে বলেই তারা স্মার্ট।
আপনি যদি নিজেকে স্মার্ট তৈরি করতে চান তাহলে আজ থেকেই বই পড়া শুরু করে দিন, কয়েকটি বই পড়ার পরই নিজের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। বই আপনাকে জ্ঞানী, বিচারশীল, বুদ্ধিমান, সতর্ক ও প্রশান্ত করে তুলবে।
৩.পরিপাটি থাকুন: কথাবার্তা আর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আপনাকে পরিপাটিও থাকতে হবে, এটাও স্মার্ট কোরে তোলার একটি অংশ।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করবেন। মার্জিত পোশাক পরিধান করবেন। সময়োপযোগী পোশাক নির্বাচন ও পরিধান করা পরিপাট্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।অনুষ্ঠান, উপলক্ষ, স্থান, আবহাওয়া, বয়স, পেশা, দেহের আকার আয়তন ইত্যাদি বিবেচনা করে মানানসই পোশাক পরিধান করবেন। নিজেকে পরিপাটি রাখার পাশাপাশি নিজের বাসস্থান পরিপাটি রাখাও স্মার্ট ব্যাক্তির বৈশিষ্ট্য।
৪. সম্মান করা: স্মার্ট ব্যাক্তি কখনো অন্যান্য ব্যাক্তিকে ছোট বা অসম্মান করে না। অনেক ব্যাক্তি আছে যারা খুবই অল্প যানে কিন্তু ভাব নেয় এমন যেন সে সবই জানে। এটা নিয়ে সে অহংকার করে। কিন্তু প্রকৃত স্মার্ট ব্যাক্তি কখনও এমন চিন্তা ভাবনা করে না। সে অন্যর প্রসংশা করতে যেমন পারে তেমনি পারে সম্মান দিতে। তাই নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে জা জানেন তা নিয়ে অহংকার করা বাদদিন বরং মনে করুন আমি তো কিছুই জানি না। কেও আঘাত পায় এমন ভাবে অহংকার করা যাবে না। অন্যকে সম্মান করুন স্মার্ট হোন।
৫. সাহায্য করা: বিপদের সময় অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা আপনাকে কেবল একজন মানবিক মানুষ হিসেবেই তুলে ধরবে না, সেইসঙ্গে প্রকাশ করবে স্মার্টনেসও। তাই কেউ সাহায্য চাইলে তাকে যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। এর ফলে আপনার প্রতি অন্যদের ভরসা বাড়বে। অন্যের দুঃসময়ে পাশে থাকলে আপনার দুঃসময়েও অনেককে পাশে পাবেন।
৬. সৌজন্যতাবোধ : সৌজন্যবোধ হলো মানুষকে মানুষ মনে করা, ঠিক ঠিক একজন মানুষ হওয়া এবং যার যা প্রাপ্য তা পরিশোধ করা।কেউ আপনার জন্য সামান্য কিছু করলেও তাকে ধন্যবাদ জানানোটা সৌজন্যবোধ।
সব জায়গাতেই কিছু ন্যূনতম সৌজন্যতা মেনে চলা উচিত। এতে যেমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় তেমনি স্মার্টনেসেরও পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন খুব জোরে জোরে কথা বলবেন না। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। ধুপধাপ পা ফেলে না হেঁটে নিঃশব্দে হাঁটার চেষ্টা করুন। খাওয়ার সময় শব্দ না করে খান। কারো সাহায্য নেবার পর ধন্যবাদ জানানোও কিন্তু সৌজন্যতাবোধের মধ্যে পড়ে। কাউকে বিরক্ত করলে ‘দুঃখিত বলুন।
এগুলো ছোট ছোট বিষয় গুলো খেয়াল করলে সেগুলো আপনাকে মহান করে তুলবে। তাই খেয়াল করুন স্মার্ট থাকুন।
শেষ কথা
এ বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন মানুষ আপনাকে দেখে শিখবে। স্মার্টনেস মানে হল নিজের ব্যক্তিত্বকে ইউনিক করে গড়ে তোলা। স্মার্টনেস এর কারণে আপনি হবেন সম্মানিয় ব্যাক্তি সমাজ আপনাকে আলাদা চোখেই দেখবে। আপনাকে দেখিয়ে এক্সাম্পল দিবে যে অমুকের মতো হতে হবে। স্মার্ট ব্যাক্তি কে সবাই অনুসরণ করতে চায় কারণ তার লাইফস্টাইলই মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url