প্রচন্ড গরমে সতর্ক থাকুন
ইদানীং বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সকাল 7 টা বাজলে অনুভব হচ্ছে যেন দুপুর 2 টা বাজে! এই তীব্র তাপপ্রবাহর মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষদের ঠিকই তাদের দৈনিন্দ কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ঠিকই রোদ পোহিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে, কিছুই থেমে নেই, সবাইকেই তাদের নিজ নিজ কাজ করতে হচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে যায়।
গরমে যেগুলো রোগ দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো- জ্বর-কাশি,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে একটু অসতর্কতায় ঘটতে পারে বিপদ
যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করবেন
প্রচুর তাপ থেকে বাচতে হাতে সবসময় ছাতা নিয়ে বের হবেন, ছাতা না থাকলেও ক্যাপ বা মাথায় কিছু দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ সরাসরি সূর্য'র তাপ মাথায় লাগলে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। তাই প্রটেকশন নিয়ে বের হবেন। অবশ্য অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক দের জন্য বেশি ঝুকিপূর্ণ। তাদের প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়াই ভালো।
গরমে নরম পাতলা ঢিলাঢালা কাপড় পরিধান করুন। চিপা কাপড় পরিধান এর ফরে শ্বাসকষ্ট হতে পারে!
সূর্য'র অতিরিক্ত রশ্মিতে চোখের রেটিনাতে ক্ষতিকর প্রভাব পরতে পারে তাই সানগ্লাস ব্যাবহার করুন করতে হবে।
সাথে সবসময় পানির বোতল রাখবেন, একটু পর পরই পানি পান করবেন, সতর্ক থাকবেন ভুলেও ঠান্ডা পানি পান করবেন না। নরমাল টেম্পারেচারের পানি পান করবেন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের কিছু অংশের তাপমাত্রা হুট করে কমে যায়। বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে শরীর।
যাদের বেশি তাপ পোহিয়ে কাজ করতে হয় তাড়া শরিল কে স্ট্রং রাখতে মাঝেমধ্যে ফলের রস খেতে পারেন। অথবা সিজনাল ফল গুলো খেতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।কম মসলাযুক্ত খাবার খেতে হবে, তাড়াতাড়ি হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে।
গরমের দিন প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করতে হবে।
বের হওয়ার আগে গোসল করে যাবেন এবং এসে আবার গোসল করবেন এতে করে মাথা ঠান্ডা থাকবে এবং ফ্রেস লাগবে । চাইলে বার বার হাত মুখেও পানি দিতে পারেন।
সর্বোপরি, গাছ কিন্তু রোদের তাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাপমাত্রা বাড়ছে কিন্তু মানব সৃষ্ট কারণেই তাই মানুষ যদি চায় সবই সম্ভব। আপনি যদি চান তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকুক তাহলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কারণে যেগুলোর মধ্যে আপনি জরাবেন না, দেখবেন একজন একজন করে অনেক জন হয়ে গেছে। বেশি বেশি গাছ লাগাবেন। তাপমাত্রা রোধে কিন্তু আপনার নিজেস্ব ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে তাহলেই তাপমাত্রা রোধ করা সম্ভব। বর্তমানে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, জনগণ না চেষ্টা করলে তা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। সতর্ক হন এখনই।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url